শ্বাশুড়ী কে শ্বাসরোধ করে খুন করে ধৃত জামাই : চাঞ্চল‍্য এলাকায়

12th August 2021 4:38 pm বর্ধমান
শ্বাশুড়ী কে শ্বাসরোধ করে খুন করে ধৃত জামাই : চাঞ্চল‍্য এলাকায়


আমিরুল ইসলাম ( ভাতার ) : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের মাহাতা গ্রামে শ্বাশুড়ীকে শ্বাসরোধ করে খুন করলো জামাই। ধরা পড়ল পুলিশের জালে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বোলপুরের রাজকুমার আগরওয়াল এর সঙ্গে লীলা আগরওয়ালের বিয়ে হয় বছর কুড়ি আগে। তারা বর্ধমান শহরে থাকতো। বর্ধমান শহরে সুদীপ্ত মুখার্জির বাড়িতে লীলা আগারওয়াল পরিচারিকার কাজ করতেন। এরপর সুদীপ্ত মুখার্জির সঙ্গে লীলা আগরওয়ালের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সেই কথা সুদীপ্ত মুখার্জীর স্ত্রী জানতে পেরে সে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করে বাবার বাড়ি চলে যায়।
এক বছর আগে সুদীপ্ত মুখার্জি ভাতারের মাহাতা গ্রামের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। লীলা আগরওয়ালের এক মেয়ে ও এক ছেলে ছিল।

গত মঙ্গলবার লীলা আগারওয়াল এর মৃতদেহ উদ্ধার করে তারই ভাড়া বাড়ি থেকে ভাতার থানার পুলিশ।
কিভাবে তার স্ত্রী খুন হয়েছে তা জানতে প্রথম পক্ষের স্বামী রাজকুমার আগারওয়াল লিখিত অভিযোগ জানায় ভাতার থানায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভাতার থানায় নিয়ে আসা হয় লীলা আগারওয়ালের দ্বিতীয় স্বামী সুদীপ্ত মুখার্জিকে। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ওই খুনের কিনারা করল ভাতার থানার পুলিশ।
দেখা যায় লীলা আগারওয়াল এর সঙ্গে তার জামাইয়ের মোবাইল ফোনে বহুক্ষণ ধরে কথা হয়েছে। গতকাল রাত্রে বোলপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তার জামাই প্রসেনজিৎ দলুইকে । অনেকক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রসেনজিৎ দলুই স্বীকার করে সে তার শ্বাশুড়ীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। কারণ হিসাবে সে জানায় তার শ্বাশুড়ী প্রথম পক্ষের স্বামী ত্যাগ করে পুনরায় বিয়ে করেছে এবং তার সংসারে আগুন ধরাচ্ছিল তার শ্বাশুড়ী। সেই কারণেই তাকে খুন করেছে ।পুলিশ আজ বর্ধমান আদালতে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় ভাতারের মাহাতা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।